চিনির বাজারে আগুন, ডালের দাম বেড়েই চলেছে

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৫, ২০২২ সময়ঃ ৪:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন

রাজধানীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে চিনি। প্রতিদিনিই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চিনির দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। আর ডালের দাম তো বলার দরকার হয় না। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।

অন্যসময় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের গুদামগুলো চিনির বস্তায় পরিপূর্ণ থাকলেও এখন সেই চিরচেনা চিত্র নেই। বাজারে নেই চিনি। অনেক খোঁজার পর কিছু কিছু দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি।

পাইকারি পর্যায়েই চিনি ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে লাল চিনি পাওয়া গেলেও মিলছে না সাদা চিনি। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

বাজারে চিনির সংকটের বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, আমরা নিয়মিত যেখান থেকে চিনি কিনি। সেখানে চিনি নেই। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দোকানেও নাকি চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।

যদিও অনেক খুঁজে সোনার হরিণ চিনির সন্ধান মিলেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এক ক্রেতা বলেন, বাজারে লাল চিনি আছে। প্রতিকেজি ১৩০ টাকা। আর সাদা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দামে নাভিশ্বাস আরেকজন ক্রেতা বলেন, আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে চিনি কিনতাম। এখন ১৪০ টাকা দরে চিনি কিনতে হচ্ছে।

এদিকে বেড়েছে ডালের দামও। দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩৫ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে সরবরাহ থাকলেও বাজারে আটার পর্যাপ্ত মজুত নেই। কিন্তু দাম বাড়ার দায় মিলারদের ওপর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা প্রতিকেজি আটা ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলেন, এক সপ্তাহে ডালের দাম যে হারে বাড়ছে। এক মাসেও ততটা বাড়েনি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বেশি। এখানে আমরা কী বলব। আমরা তাদের সঙ্গে অনেক পীড়াপীড়ি করছি। কিন্তু তারা তো দাম কমাচ্ছে না।

এমন অবস্থাতেও চালের বাজারে বড় কোনোও পরিবর্তন আসেনি। খুচরা বাজারে মোটা চাল প্রতিকেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G